চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এখন ভাতা পাচ্ছেন। এর বাইরেও ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ডসহ নানা সুবিধা চালু করেছে।
যা আগের কোনো সরকার করতে পারেনি। সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তেই আওয়ামী লীগ সরকার নানা ধরনের ভাতা চালু করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ভোট আসলে অনেকে অনেক কথা বলে, অথচ দেশের দুর্যোগ-দুর্বিপাকে কিংবা সাধারণ মানুষের বিপদে তাদের সারা বছর দেখা যায় না। ভোট আসলে যারা বড় বড় কথা বলে তাদের জিজ্ঞেস করবেন আওয়ামী লীগ যে পাকা রাস্তা করেছে ক্ষমতায় গেলে তারা রাস্তার গর্তটুকু আগে ভরাট করতে পারবে কিনা।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে পঞ্চগড় সফররত তথ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কোদালা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খালেদ মাহমুদ।
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথম বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রচলন করেছিলেন। বিএনপি এসে তা আর বাড়ায়নি বরং অনেক ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ভাতার পরিমাণ এবং সংখ্যাও বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় না আসলে এ সব ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।
ড. হাছান বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সবার জন্য আমাদের সরকার কাজ করেছে। রাঙ্গুনিয়াতেও হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে গত ১৪ বছরে সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। আগামীতে আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজাটি খোলা রাখবেন এবং আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহবান জানাই।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বাদশা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউল আলম মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মো. ইছহাক, যুবলীগ নেতা মো. শোয়াইব, আবদুল জব্বার, মাওলানা নুরুল আজিম প্রমুখ।
Leave a Reply